গুহার মধ্যে শৃঙ্খলিত বন্দিরা কেবল ছায়াকেই জানতে পারে, জ্ঞানকে নয়, সত্যকে নয়। সেই ছায়াকেই তারা জ্ঞান বলে মনে করে। কিন্তু যে-বন্দি মুক্ত হয়ে গুহার বাইরে সূর্যের আলোকে এসেছে সে যথার্থ জ্ঞানের সাক্ষাৎলাভ করে। কিন্তু সেই যথার্থ জ্ঞানের সাক্ষাৎ সরাসরি হতে পারে না। তার স্তর আছে। অন্ধকার হতে তীব্র আলোতে এসে প্রথমে সে অন্ধের মতো হয়ে যাবে। তার মনে হবে গুহাতেই সে ভালো ছিল। সেখানেই সে সত্যকে জেনেছে। কিন্তু চোখ যখন আলোতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে তখন সে জ্ঞানের সাক্ষাৎলাভ করতে থাকবে এবং সত্য এবং গুহার ছায়ার পার্থক্য তখন সে উপলব্ধি করতে পারবে। সকল মানুষই এই সত্য জ্ঞান লাভ করতে পারে না। অধিকাংশ মানুষই হচ্ছে গুহার বন্দি। তারা ছায়াকেই সত্য মনে করে। এটা তাদের জ্ঞান নয়, এটা তাদের ধারণা। খুব অল্পসংখ্যকেরই গুহা থেকে মুক্তির সৌভাগ্য জোটে। কিন্তু সকলেরই কামনা হবে সেই মুক্তির। অন্ধকার থেকে আলোতে আসার। ছায়ার বদলে ছায়ার উৎসকে জানার।
উপরোক্ত কথাগুলি দার্শনিক সক্রেটিসের। কিন্তু কথাগুলি সক্রেটিসের না হলেও তো মিথ্যা হবার উপায় নেই। আমাদের চারপাশের নানান ঘটনা বলি কি আমাদের এই মেসেজ দিচ্ছেনা যে আসুন সময় হয়েছে জ্ঞানচর্চার। আর এই চর্চা অব্যাহত রাখতে পারে বই। অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসার মাধ্যম হিসেবে বই হোক প্রথম অবলম্বন।
No comments
Post a Comment