কথার ঘরবাড়ি
কথার ঘরবাড়ি । কার কথা! কেমন কথা!! কি কথা!!! উনবিংশ শতকে জন্মগ্রহনকারি বিশিষ্ট কয়েকজন মানুষ কথোপকথনের মধ্য দিয়ে বলেছেন তাদের সময়, জীবন ও জগৎ সম্পর্কে নানা কথা । অত্যন্ত ঋদ্ধ। এইসব আলোচনা ও মতামত সাক্ষাৎকার হিসেবে গ্ৰহণ করেছেন লেখক, সমালোচক ও সংস্কৃতিকমী সুশীল সাহা ।
আসুন জেনে নিই কাদের সাক্ষাৎকারে সমৃদ্ধ হয়েছে বইটি। ১৮ জন বিশিষ্ট মানুষের মধ্যে রয়েছেন;
কে. জি সুব্রম্মণ্যন যিনি বিশিষ্ট ভারতীয় চিত্রকর। ২০১২ সালে তিনি পদ্মবিভূষণ পুরষ্কার লাভ করেন।
বাদল সরকার যিনি ভারতীয় নাট্যাঙ্গনের প্রভাবশালী নাট্যকার ও নির্দেশক। নাটককে প্রসেনিয়ামের বাইরে এনে তৃতীয় ধারার নাটকের সূত্রপাত করেন।
তপন রায়চৌধুরী একজন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ। আত্মজীবনী 'বাঙালনামা' তাঁর বিশেষ রচনা।
কবি মণীন্দ্র গুপ্ত, তিনি একালের একজন বিশিষ্ট কবি। অনেকের মতে স্বাধীন উত্তর বাংলায় তিনি সর্বাধিক প্রভাবশালী কবিদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর দীর্ঘ রচনার সম্ভারের মধ্যে রয়েছে "চাঁদের ওপিঠ", "অক্ষয় মালবেরী" প্রভৃতি। ২০১০ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমী দ্বারা ভূষিত হন, এ রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান "রবীন্দ্র পুরষ্কার"-এ তার "টুংটাং শব্দ নিঃশব্দ"-(২০০৫) এর জন্য।
কবি শঙ্খ ঘোষ, লেখক সমালোচক, বুদ্ধিজীবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবেও সুপরিচিত।
কথা সাহিত্যিক জাহানারা নিওশিন যার পিতামহীর পাখি একটি বিশেষ উপন্যাস।
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত এক জন বিখ্যাত বাঙালি কবি। তাঁর ২০টিরও বেশি কাব্যগ্রন্থ আছে। এর পাশাপাশি তিনি বহু বাংলা ও সাঁওতালি কবিতা ও নাটক ইংরাজি ও জার্মানে অনুবাদ করেছেন।
আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও লেখক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের ইমেরিটাস অধ্যাপক।
সাইদা খানম বাংলাদেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী। বেগম পত্রিকার মাধ্যমে সাইদা খানম আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর ছবি ছাপা হয় দৈনিক অবজারভার, মর্নিং নিউজ, ইত্তেফাক, সংবাদ'সহ বিভিন্ন পত্রিকায়।
মনোজ মিত্র একজন বাঙালি থিয়েটার, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেতা এবং নাট্যকার।
হাসান আজিজুল হক ছোট গল্পকার এবং কথাসাহিত্যিক। ষাটের দশকে আবির্ভূত এই কথাসাহিত্যিক তাঁর সুঠাম গদ্য এবং মর্মস্পর্শী বর্ণনাভঙ্গির জন্য প্রসিদ্ধ।
জন উইলিয়াম হুড একজন অষ্ট্রেলিয় যিনি বাংলাভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে চর্চা করেছেন। নিহারঞ্জন রায়কে নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের সমালোচক হিসেবেও খ্যাতিমান।
ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম যিনি ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম নামেও পরিচিত একজন বাংলাদেশী বংশীবাদক। তিনি ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদকে ভূষিত হন।
পি সি সরকার ভারতবর্ষের বিখ্যাত জাদুকর। তার পুরোনাম প্রতুল চন্দ্র সরকার। তিনি অন্যতম একজন আন্তর্জাতিক জাদুকর ছিলেন যিনি ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তার জাদু দেখিয়েছেন। তার অন্যতম প্রদর্শনী ছিল ইন্দ্রজাল প্রদর্শনী।
ফেরদৌসী প্ৰিয়ভাষিনী বাংলাদেশের প্রখ্যাত ভাস্কর। তাঁর শিল্পকর্ম বেশ জনপ্রিয়। মূলত ঘর সাজানো এবং নিজেকে সাজানোর জন্য দামী জিনিসের পরিবর্তে সহজলভ্য জিনিস দিয়ে কিভাবে সাজানো যায় তার সন্ধান করা থেকেই তাঁর শিল্পচর্চার শুরু। সম্প্রতি তিনি মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
হানস হারডার জার্মানির হালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতবর্ষ বিষয়ক দর্শন শাস্ত্রের সহকারী অধ্যাপক। বর্তমানে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ১৯৮৯ সালের দিকে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
আরও আছেন রবীন্দ্র গবেষক ব্রিটিশ কবি উইলিয়াম রাদিচে। এবং প্রখ্যাত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক তানভির মোকাম্মেল।
বইটিতে উঠে এসেছে এই সকল মানুষের জানা অজানা নানান তথ্য।
কথার ঘরবাড়ি
(একটি সাক্ষাৎকার সংকলন)
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: সুশীল সাহা।
সম্পাদনা: নিশাত জাহান রানা
প্রচ্ছদ: গোলাম কিবরিয়া
প্রকাশক: যুক্ত
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭
মূল্য: ৫৫০

কথার ঘরবাড়ি । কার কথা! কেমন কথা!! কি কথা!!! উনবিংশ শতকে জন্মগ্রহনকারি বিশিষ্ট কয়েকজন মানুষ কথোপকথনের মধ্য দিয়ে বলেছেন তাদের সময়, জীবন ও জগৎ সম্পর্কে নানা কথা । অত্যন্ত ঋদ্ধ। এইসব আলোচনা ও মতামত সাক্ষাৎকার হিসেবে গ্ৰহণ করেছেন লেখক, সমালোচক ও সংস্কৃতিকমী সুশীল সাহা ।
আসুন জেনে নিই কাদের সাক্ষাৎকারে সমৃদ্ধ হয়েছে বইটি। ১৮ জন বিশিষ্ট মানুষের মধ্যে রয়েছেন;
কে. জি সুব্রম্মণ্যন যিনি বিশিষ্ট ভারতীয় চিত্রকর। ২০১২ সালে তিনি পদ্মবিভূষণ পুরষ্কার লাভ করেন।
বাদল সরকার যিনি ভারতীয় নাট্যাঙ্গনের প্রভাবশালী নাট্যকার ও নির্দেশক। নাটককে প্রসেনিয়ামের বাইরে এনে তৃতীয় ধারার নাটকের সূত্রপাত করেন।
তপন রায়চৌধুরী একজন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ। আত্মজীবনী 'বাঙালনামা' তাঁর বিশেষ রচনা।
কবি মণীন্দ্র গুপ্ত, তিনি একালের একজন বিশিষ্ট কবি। অনেকের মতে স্বাধীন উত্তর বাংলায় তিনি সর্বাধিক প্রভাবশালী কবিদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর দীর্ঘ রচনার সম্ভারের মধ্যে রয়েছে "চাঁদের ওপিঠ", "অক্ষয় মালবেরী" প্রভৃতি। ২০১০ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমী দ্বারা ভূষিত হন, এ রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান "রবীন্দ্র পুরষ্কার"-এ তার "টুংটাং শব্দ নিঃশব্দ"-(২০০৫) এর জন্য।
কবি শঙ্খ ঘোষ, লেখক সমালোচক, বুদ্ধিজীবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবেও সুপরিচিত।
কথা সাহিত্যিক জাহানারা নিওশিন যার পিতামহীর পাখি একটি বিশেষ উপন্যাস।
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত এক জন বিখ্যাত বাঙালি কবি। তাঁর ২০টিরও বেশি কাব্যগ্রন্থ আছে। এর পাশাপাশি তিনি বহু বাংলা ও সাঁওতালি কবিতা ও নাটক ইংরাজি ও জার্মানে অনুবাদ করেছেন।
আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও লেখক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের ইমেরিটাস অধ্যাপক।
সাইদা খানম বাংলাদেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী। বেগম পত্রিকার মাধ্যমে সাইদা খানম আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর ছবি ছাপা হয় দৈনিক অবজারভার, মর্নিং নিউজ, ইত্তেফাক, সংবাদ'সহ বিভিন্ন পত্রিকায়।
মনোজ মিত্র একজন বাঙালি থিয়েটার, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেতা এবং নাট্যকার।
হাসান আজিজুল হক ছোট গল্পকার এবং কথাসাহিত্যিক। ষাটের দশকে আবির্ভূত এই কথাসাহিত্যিক তাঁর সুঠাম গদ্য এবং মর্মস্পর্শী বর্ণনাভঙ্গির জন্য প্রসিদ্ধ।
জন উইলিয়াম হুড একজন অষ্ট্রেলিয় যিনি বাংলাভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে চর্চা করেছেন। নিহারঞ্জন রায়কে নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের সমালোচক হিসেবেও খ্যাতিমান।
ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম যিনি ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম নামেও পরিচিত একজন বাংলাদেশী বংশীবাদক। তিনি ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদকে ভূষিত হন।
পি সি সরকার ভারতবর্ষের বিখ্যাত জাদুকর। তার পুরোনাম প্রতুল চন্দ্র সরকার। তিনি অন্যতম একজন আন্তর্জাতিক জাদুকর ছিলেন যিনি ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তার জাদু দেখিয়েছেন। তার অন্যতম প্রদর্শনী ছিল ইন্দ্রজাল প্রদর্শনী।
ফেরদৌসী প্ৰিয়ভাষিনী বাংলাদেশের প্রখ্যাত ভাস্কর। তাঁর শিল্পকর্ম বেশ জনপ্রিয়। মূলত ঘর সাজানো এবং নিজেকে সাজানোর জন্য দামী জিনিসের পরিবর্তে সহজলভ্য জিনিস দিয়ে কিভাবে সাজানো যায় তার সন্ধান করা থেকেই তাঁর শিল্পচর্চার শুরু। সম্প্রতি তিনি মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
হানস হারডার জার্মানির হালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতবর্ষ বিষয়ক দর্শন শাস্ত্রের সহকারী অধ্যাপক। বর্তমানে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ১৯৮৯ সালের দিকে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
আরও আছেন রবীন্দ্র গবেষক ব্রিটিশ কবি উইলিয়াম রাদিচে। এবং প্রখ্যাত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক তানভির মোকাম্মেল।
বইটিতে উঠে এসেছে এই সকল মানুষের জানা অজানা নানান তথ্য।
কথার ঘরবাড়ি
(একটি সাক্ষাৎকার সংকলন)
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: সুশীল সাহা।
সম্পাদনা: নিশাত জাহান রানা
প্রচ্ছদ: গোলাম কিবরিয়া
প্রকাশক: যুক্ত
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭
মূল্য: ৫৫০
No comments
Post a Comment