আদিকালে যখন কাগজ ছিল না, মুদ্রণযন্ত্র ছিল না, তখন লেখার কাজ সহজ ছিল না। এখনকার মত অনায়াসে আল্পসময়ে হাজার হাজার বই ছাপিয়ে প্রচার করার কথা তখন কল্পনাও করা যেত না। গ্ৰন্থ রচনার জন্যে লেখনের প্রকরণ যেমন তখন দুলৰ্ভ ছিল, আবার লিখিত বিষয়কে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার ব্যাপারও সহজ ছিল না। প্রাচীন আসিরিয়া ও ব্যাবিলন অঞ্চলে পোড়ামাটির ফলক বা পাতলা ইট, ভারতে তামার পাত ও শিলা এবং মিসরে প্যাপিরাস গাছের ছাল ইত্যাদি লেখার উপকরণ রূপে ব্যবহৃত হত। আরও পরে ভারতে তালপাতা, ভূজপত্র এবং ইউরোপে গবাদির চামড়া লেখনের উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু হয়েছিল। রচনা তখন ছিল নিতান্ত আয়াস সাধ্য। রচনার কপি তৈরি করা হত বহুদিন ধরে। আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বহু ব্যয়ে তা সংগ্ৰহ করতেন। এতসত্বেও প্রাচীন বিশ্বের ব্যাবলন, আসিরিয়া, মিসর ও ভারতে বহু গ্রন্থগার গড়ে উঠেছিল বলে জানা যায়। মিসরের আলেকজান্দ্ৰিয়া এবং ভারতের নালন্দা তক্ষশিলা ও বিক্রমশীলায় সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। ভারতে মোগল রাজত্ব কালের প্রায় সূচনা পর্বেই যে গ্রন্থাগারের অস্তিত্ব ছিল, তা জানা যায় গ্রন্থাগারের সিড়ি থেকে পতনের সাথে সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যু সংবাদ থেকে।
Share /
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
অসাধারণ ..
ReplyDeleteলেখাটা একটু ছোট হয়ে গেল। তৃষ্ণা মিটল না ।
ReplyDelete