প্রথমেই কৈফিয়ত, আমি লেখক নই। কিন্তু মনের কথা বলার এর চেয়ে ভালো মাধ্যম আমার জানাও নেই।
click to view large image
রবীন্দ্রনাথ লাইব্রেরি প্রবন্ধে লিখেছিলেন; “হিমালয়ের মাথার উপরে কঠিন বরফের মধ্যে যেমন কত কত বন্যা বাঁধা আছে, তেমনি এই লাইব্রেরির মধ্যে মানবহৃদয়ের বন্যা কে বাঁধিয়া রাখিয়াছে!” এখন এই লাইব্রেরি শব্দটি যদি বইয়েরহাট দিয়ে প্রতিস্থাপন করি তাহলেই আমি এখন যা বলতে চাই সেটি পরিস্কার হয়ে যায়। সংগঠন মানেই কোন স্বপ্নের বাস্তবায়নে কিছু মানুষের একত্রিত হওয়া। সেরকম কিছু বই পড়ুয়া পাঠক শুধু বলবো না, যারা নিজে ও অন্যকে পড়িয়ে আনন্দ পান এমন কিছু মানুষের চেষ্টায় আজ আমাদের এই পড়ার গ্রুপ। সম্প্রতি শ্রদ্ধেয় মীনাক্ষী দত্ত (বুদ্ধদেব বসুর কন্যা) তাঁর কলামে (
https://rit.one/Bx7mwm )আমাকে এবং বইয়ের হাটকে স্মরণ করেছেন। এ আমাদের অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি আমার কৃতজ্ঞতা তাঁকে ফোনালাপে জানিয়েছি। কিছু তথ্যগত এবং ছাপার ভুল রয়েছে, তাতে কিচ্ছু যায় আসে না, উনি আমাদের স্মরণ করেছেন সেটাই বড় বিষয়। আবারও রবিঠাকুরের কথা বলবো, কারন এই ব্যাক্তি এমনভাবে আমার মাথায় চেপেছে যাকে ছেড়ে চলে যাবার বিন্দুমাত্র আগ্রহ আমার নেই। বরিঠাকুর বলেছেন; “...কৃতজ্ঞতা দিলে তাঁহাকে অল্প দেওয়া হয়, তাঁহাকে ফাঁকি দেওয়া হয়। তাঁহাকে বলা হয়, তোমার কাজ তুমি করিলে, আমার কর্তব্যও আমি সারিয়া দিয়া গেলাম। বরঞ্চ স্নেহের একপ্রকার অকৃতজ্ঞতা আছে, কারণ, স্নেহের দাবির অন্ত নাই। সেই স্নেহের অকৃতজ্ঞতাও সাতন্ত্র্যের কৃতজ্ঞতা অপেক্ষা গভীরতর মধুরতর।” তাই সেই স্নেহের দাবি নিয়ে তাঁকে অনুরোধ করছি আমাদের হাটেও নিয়মিত লিখুন। আমাদের সাহস দিন। আমাদের উৎসাহিত করুন। আশাকরি উনি কথা রাখবেন। যারা এই হাটের জন্য দিবারাত্রি ভেবেছেন, পাঠকদের জন্য বই জুগিয়েছেন, যাদের কারনে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আজ বইয়ের হাট হয়ে উঠেছে তাদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা রইলো। কিছু নাম না করলেই নয়, যেমন; সুমন দাস, সুমন বিশ্বাস, রাহুল বিদ, শিশির, ইয়াদিরা, গীতাদি, বন্দন দা, মলয় দা, কবীর ভাই, আয়নামতি, সুচিত্রা ঘোষ, গৌতম বসু, রনি আহমেদ, দুর্জন, সৌমেন্দ্র, স্বাতী জানা, সুচিত্রাদি, সুজয়দা, নায়লা নাজনীন, আইরিনদি, সাব্বিরদা, দুর্জয়, স্বপনদা সহ এরকম অনেকেই বইয়ের হাটের বাইরে ও ভিতরে রয়েছেন যাদের সবার নাম হয়ত বলে শেষ করা যাবে না। গুরুত্বপূর্ণ কেউ বাদ পড়লে আশা করি ক্ষমা করবেন।
যেকোনো কাজে আমি অনুপ্রেরণা পাই সুমনের ঐ গানে;
তুমি দেখবে… তুমি দেখবে তুমি দেখবে
ওই দুটো হাত বাড়ালে,
কিছু হাত ওই হাত ধরবেই
তুমি তোমার মাটিতে দাঁড়ালেই।
দুনিয়ার পাঠক এক হও। সকলের মঙ্গল হোক।