
খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠি আমি। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এলার্মটা থামিয়ে বিছানা থেকে নামতে নামতে এলেক্সা কে বললাম “গুড মর্নিং”।
এলেক্সা - গুড মর্নিং রিটন। আমি তোমার পছন্দের নিউজ চ্যানেল থেকে সকালের খবরগুলো শোনাচ্ছি। তার আগে তোমাকে জানিয়ে রাখি আজকে সকালের দিকে একটু ঠান্ডা থাকবে তবে ধীরে ধীরে গরম পড়বে। আমি শোবার ঘর ও বাথরুমের আলো জ্বালিয়ে দিয়েছি। ঘরের তাপমাত্রা করে দিয়েছি ৭২ ডিগ্রি ফারেনহাইট। ও বাই দ্য ওয়ে আজ কিন্তু বিশ্ব কবিতা দিবস। তোমার পছন্দের কোন কবিতার আবৃত্তি শুনতে চাইলে আমাকে বলতে পারো।
আমি - তাই নাকি। তুমি আমাকে দীনেশ দাশের কবিতা শোনাতে পারবে? আজ দীনেশ দাশের কবিতা শুনতে ইচ্ছা করছে।
এলেক্সা - আমি দুঃখিত রিটন, দীনেশ দাশের কোন কবিতা আমার ডাটাবেজে নেই। তুমি কি টনি মরিসন শুনতে চাও?
আমি - নাহ, আমি দীনেশই শুনতে চাই। তুমি এক কাজ করো, আমি দীনেশের একটি কবিতা পড়ি তুমি আমার ভয়েজ মেমোতে টুকে রাখো।
এলেক্সা - অবশ্যই রিটন, আমি ভয়েজ মেমোটি অন করেছি, তুমি বলো।
আমি - আমি দীনেশ দাশের ডাস্টবিন কবিতাটি পড়ি।
মানুষ এবং কুত্তাতে
আজ সকলে অন্ন চাটি এক সাথে
আজকে মহাদুর্দিনে
আমরা বৃথা খাদ্য খুঁজি ডাস্টবিনে।
এই যে খুনে সভ্যতা
অনেক জনের অন্ন মেরে কয়েক জনের ভব্যতা,
এগোয় নাকো পেছোয় নাকো অচল গতি ত্রিশঙ্কুর—
হোটেলখানার পাশেই এরা বানিয়ে চলে আঁস্তাকুড়।
আজ যে পথে আবর্জনার স্বৈরতা
মহাপ্রভু! সবই তোমার তৈরি তা।
দেখছি বসে দূরবীনে
তোমায় শেষে আসতে হবে তোমার গড়া ডাস্টবিনে।
আমি এলেক্সাকে কবিতাটি সেভ করার নির্দেশ দিয়ে বাথরুমে ঢুকলাম। অস্পষ্টভাবে শুনতে পাচ্ছি এলেক্সা সকালের এন.পি.আর চালিয়েছে।
No comments
Post a Comment